১৮ জুন ২০২৩ বিশ্ব বাবা দিবস। আমার বাবা! মো: জাহাঙ্গীর আলম। পেশায় একজন চিকিৎসক। ছোট বেলায় হেলিকপ্টার দেখা থেকে নববর্ষ। সবখানেই আমার খুশির একমাত্র মাধ্যম বাবা।

বাবা’ই সকল অনুপ্রেরণার উৎস। বাবা’ই পথপ্রদর্শক। বাবার হাত ধরে চেনা হয় পৃথিবীকে। আমাদের যত অভিযোগ, সুখ,আহ্লাদ, তার বেশির ভাগই রয়ে যায় বাবার কাছে। খারাপ সময়ে তিনিই সবার আগে আমাকে আগলেছেন, সামলেছেন। আমার প্রথম আর সত্যিকারের বন্ধু বাবা। অন্তত আমার ক্ষেত্রে। বাবা আসলে নির্ভরতার প্রতীক। সবাই ছোটবেলায় চায় বাবার মতো হতে। বলা না হলেও মনে মনে তিনিই আমার মহানায়ক, সুপারহিরো।

ভারতে চিকিৎসার সময় চেন্নাই এয়ারপোর্টে লেখকের বাবা

বাবা যে কত টা ভালোবাসেন আমাদের তার প্রমাণ যখন শহরের বাইরে থাকি তখন ১০ মিনিট পর পর তার ফোন কল পেলেই বুঝে যায়। আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে শক্ত মানুষ আমার বাবা। তিনি পুরো পৃথিবীর দু:খ একপাশে নিয়ে আজও আরেকপাশে রেখেছেন আমাদের সুখ।

জীবনের অন্যতম পর্যায়ে যখন সবথেকে বড় ভূল করলাম তখন পুরো সমাজ পৃথিবী আমার বিরুদ্ধে গেলেও সেই মানুষ টা আমাকে বেচেঁ থাকার শক্তি জোগায়। বাবাকে হয়তো নিজের অজান্তেই অনেক কষ্ট দিয়েছি। বাবা মেনে ও নিয়েছে হাসিমুখে।

যখন আমি তার থেকে দূরে তখন সন্তানের সংকটে তিনি নিভৃতে চোখের জল ফেলেন। আর সামনে দাঁড়ান বর্মের মতো।
করোনাকালেও সন্তানদের জন্য বাবাদের উৎকণ্ঠা অবিকল। নিজের করোনা পজিটিভ নিয়েও চিন্তা করে গেছেন যেন আমার সন্তান ভালো থাকে। বাবা অসুস্থ যখন চিকিৎসার জন্য ছিলেন ভারতের ভেলোরে তবুও তিনি বার বার আামাদেরসাহস জুগিয়েছেন যেন আমরা ভয় না পাই। সন্তানের জন্য বাবারা নিজ ভয়কে জয় করেছেন। অথচ বাবাদের কখনো বলা হয়ে ওঠে না, ‘বাবা, আমি তোমায় ভালোবাসি।’

ছবিতে লেখক ও তার বাবা

বাবা! আমি আসলেই অনেক অনেক অনেক ভালোবাসি আপনাকে আর সেটা কতটুকু সত্য তার প্রমাণ আজকের লেখাগুলো লিখার সময় আমার চোখের সহস্র জলগুলোই বলে দিচ্ছে। সবশেষে পৃথিবীর সবকিছুর বিনিময়ে হলেও হাজার বছর বেচে থাকুক আমার বাবা।
লেখা: তানভীরুল আলম তোহা